সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধি॥ শশুরের ভাঙ্গা ঘর দেখে অভিমান করে শশুর বাড়ি যেতেন না মাহাবুব খান। এক সময়ে শশুরকে প্রস্তাব দেন জামাই বাবা আমি টাকা দেই আপনি ঘর উত্তোলন করেন। প্রথমে শশুর রাজি না হলেও পরবর্তিতে জামাইয়ের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে বিল্ডিং ঘর উত্তোলন করেন।
জামাই নতুন ঘরে গিয়ে শশুরকে টাকার জন্য একটি লিখিত করার প্রস্তাব দেন জামাই। শশুর প্রথমে রাজি হলেও পরে মেয়েকে দিয়ে জামাইকে উল্টাপাল্টা বুঝানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করেন বলে জানান জামাই মাহবুব খান। তিনি আরো বলেন, আমার স্ত্রী ছনিয়াকে দিয়ে আমাকে বুঝায় যে শশুরেরে টাকা দিয়ে এখন লিখিত নিলে মানুষ কি বলবে।
আমার ভাই বিদেশ দিয়া টাকা পালাইলেই তোমার টাকা দিয়ে দিবে। এমন কথা বলে আমাকে নানান ভাবে হয়রানি শুরু করে আমার শশুর বাবুল বেপারী। মাহবুব আরো বলেন, আমার টাকা নিয়া আমার স্ত্রী’র বড় ভাইকে বিদেশ পাঠায়।
আমি হঠাৎ অর্থের অভাবে পড়লে তাদের কাছে টাকা চাইলে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আটকায় এবং কিসের টাকা পাবি বলে হুমকি প্রদান করেন।
আমার স্ত্রীকে আমার কাছে আর দিবে না এবং খুন করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। অনেক দিন পরে আমার শশুর বাবুল বেপারী আমার দোকানের সামনে বসে আমাকে হুমকি দেয় তোর দোকানে ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে ধরিয়ে দিবো।
আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা ও ঘরের বিভিন্ন আসবাব পত্র সবকিছুই আত্মসাত করেন শশুর পরিবার।
মাহবুবের পরিবার সূত্র জানায় ঝালকাঠি শরের সড়ক ভবনের পিছনের মৃত ওয়াজেদ আলী বেপার পুত্র বাবুল বেপারীর কন্যা ছনিয়ার সাথে নলছিটি উপজেলার নাচল মহল ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুর রহমান খানের ছেলের সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে নানা ভাবে কৌশল অবলম্বন করে আমার অনেক টাকা আত্মসাত করেন আমার স্ত্রী ছনিয়া ও তার বাবা। এঘটনায় মাহবুব খান বাদী হয় ১০০ ধারায় ঝালকাঠি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদী মাহবুব খান আরো জানান, আমি আরো ২টি মামলা দায়ের করেছি। এঘটনায় ঝালকাঠি থানা পুলিশ সোমবার রাতে ছনিয়াকে আটক করে পুলিশ এবং মঙ্গলবার আদালতে প্রেরন করার পরে ছনিয়া জামিনে বের হয়।তিনি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply